জমে উঠেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ। তথাকথিত হেভিওয়েট দলগুলোকে চমকে দিয়ে বারবার নিজেদের জোর বুঝিয়ে দিচ্ছে ছোট দলগুলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দলের কাছে হেরে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।
ছোট-বড় সব দল মিলিয়েই ফর্মের তুঙ্গে থাকা ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রুপপর্বের সেরা একাদশ।
প্রত্যাশিতভাবেই সেখানে রয়েছে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক হিরো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর নাম।
কিন্তু লিওনেল মেসির সেখানে জায়গা হয়নি। একটি ওয়েবসাইটের উদ্যোগে অনলাইন সমীক্ষার মাধ্যমে গড়া হয়েছে ওই দল।
যদিও গ্রুপের শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে গোল পেয়েছেন মেসি।
তবে এই সমীক্ষা চলছে বেশ কিছুদিন ধরে, তার একটা বড় সময় ধরে গোলখরায় ভুগছিলেন তিনি।
সেটাও স্বপ্নের একাদশে মেসির জায়গা না হওয়ার একটা কারণ হতে পারে। সেরা একাদশে গোলকিপার হিসেবে রাখা হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার দানিয়েল সুবাসিচকে।
রাইট ব্যাক সুইজারল্যান্ডের স্টিফেন লিস্টেইনার। সেন্ট্রাল ব্যাক পজিশনে উরুগুয়ের দিয়েগো গডিন ও হেক্টর মনরো।
লেফট ব্যাক ফ্রান্সের লুকাস হার্নান্দেজ। মিডফিল্ডে রয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার লুকামডরিচ, ফ্রান্সের এনগেলো কান্তে, ব্রাজিলের ফিলিপ কুতিনহো।
দুই উইংয়ে বেলজিয়ামের ইডেন হ্যাজার্ড এবং পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ফরোয়ার্ডে স্পেনের দিয়েগো কস্তা।
সমর্থকদের তোপে অবসরে ইরানি মেসি
ইরান জাতীয় দলের হয়ে ৩৩ ম্যাচে ২৩ গোল করেছেন সরদার আজমুন। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ১৪ ম্যাচে ১১ গোল করে দলকে মূল পর্বে তোলার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকাও রেখেছিলেন তিনি।
কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে পুরোপুরি ব্যর্থ ‘ইরানের মেসি’খ্যাত আজমুন। গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচেই পুরো ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। কিন্তু আরাধ্য গোলের দেখা পাননি।
বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে না পারায় ইরানি সমর্থকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।
আর এতেই মাত্র ২৩ বছর বয়সে জাতীয় দল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজমুন। অবসরের সিদ্ধান্তকে ‘যন্ত্রণাদায়ক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এ খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের কারণে ইরানে আজমুনকে নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়। ছেলের এমন সমালোচনা মানতে পারেননি আজমুনের মা।
অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আজমুন বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে কিছু মানুষ আমার ও দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে খুবই নিষ্ঠুর আচরণ করছে।
সেই সঙ্গে করছে অতিরিক্ত সমালোচনা, যা আমাদের প্রাপ্য নয়। আর এটিই আমার মাকে আরও বেশি অসুস্থ করে ফেলেছে।
ফলে আমার কাছে যে কোনো একটিকে বেছে নেয়া ছাড়া উপায় ছিল না। তাই আমি আমার মায়ের দিকটা ভেবে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মাত্র ১৯ বছর বয়সে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন আজমুন।